শীতকালে ঘরুয়া উপায়ে ঠোঁটের যত্ন নেওয়ার টিপস
ছবিঃ- শীতকালে ঠোঁটের যত্ন
শীতকাল আসলেই ঠোঁটের যত্ন নিতে সবাই উঠে পরে লাগে। কারণ এই সময়ে বেশির ভাগই পুরুষ এবং মহিলার ঠোঁট ফাটে। শুধু তারা নয় বাচ্চাদেরও এই সময়ে ঠোঁটের ফাটল দেখা যায়। তাই কেউ মেরিল, কেউ লিপজেল,আবার কেউবা বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে। কারণ শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকে ফলে আপনার ঠোঁট ফাটে তাড়াতাড়ি।আপনি এই প্লাটফর্মে ঠোঁট ফাটার অস্বস্তিকর জ্বালা থেকে রক্ষা পাওয়ার সঠিক উপায় জানতে পারবেন।আর আপনার ঠোঁটের শুষ্কতা প্রতিরোধে করে ঠোঁটের সজীবতাও পাবেন।
ঘরে বসে প্রাকৃতিক উপায়ে ঠোঁটের যত্ন
(১) প্রচুর পরিমানে বিশুদ্ধ পানি পান করুন
শীতকালে ঠোঁটের শুষ্কতা বৃদ্ধি পায় এবং সজীবতা হারায় ফলে ঠোঁটে অনেক ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। যেমনঃ- ঠোঁট ফাটা,ঠোঁটের সংবেদনশীলতা নষ্ট, উজ্জ্বলতা হারিয়ে যাওয়া ইত্যাদি। তাই এই সময়ে প্রচুর পরিমানে বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিৎ।
(২) মধু
মধুতে প্রচুর পরিমানে এন্টি ব্যাাকটেরিয়াল এবং হিলিং প্রোপার্টিজ রয়েছে যেগুলো আপনার ঠোঁটকে ময়েশ্চারাইজার করে থাকে। তাই শুষ্কতাভাব দূর করতে মধু ও গ্লিসারিনের পেস্ট বানিয়ে ঠোঁটে ব্যাবহার করতে হবে। এতে করে আপনার ঠোঁট নরম ও কমল হবে।
(৩) অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরার মধ্যে থাকা অ্যান্টি- ইনফ্লেমেটরি প্রোপার্টিস ঠোঁটের রিংকেলস বা বলিরেখা হওয়া থেকে বাঁচায়।ফলে এটি আপনার ঠোঁট হাইড্রেশনমুক্ত থাকে।আপনি যদি ঠোঁট উজ্জ্বল ও নরম করতে চান তাহলে অ্যালোভেরার সাথে কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল মিশিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন।তারপর তা ধুয়ে ফেলুন।
(৪)নারকেল তেল
নারিকেল তৈল আপনার ঠোঁটের নমনীয়তা বজায় রাখে এবং রুক্ষতা দূর করে।ফলে ঠোঁট প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার পায়।১/২ চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে ১/২ চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে সেই মিশ্রণটি দৈনিক ২ থেকে ৩ বার করে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন।আর ১৫ মিনিট পরে তা ধুয়ে ফেলুন।ফলাফল ঠোঁটের নমনীয়তা বৃদ্ধি এবং রুক্ষতা দূর করে।
(৫)ঠোঁট স্ক্রাবিং করা উচিৎ
আপনার ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতে এবং কোমল দেখাতে অবশ্যই স্ক্রাবিং করা উচিৎ। কমপক্ষে সপ্তাহে একবার হাফ ১/২ চামচ চিনি এবং ১/২ চামচ মধু সম পরিমাণে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। তারপর এটি আপনার ঠোঁটে ২০ মিনিট সময় ধরে ব্যাবহার করতে হবে।
(৬) ঠোঁটে ঘি ব্যাবহার করুন
শীতকালে আপনার ঠোঁটের যত্ন নিতে ঘি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।ঠোঁটের নমনীয়তা রক্ষা করতে এবং সজীবতা বৃদ্ধি করতে এই উপাদানটি অনেক কার্যকরী।ঠোঁট ফাটা বা কোনো রকম এলার্জি হলে তা সহজেই দূর করে। ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করতে দৈনিক দুবার করে সামান্য ঘি ঠোঁটে লাগান।
(৭)জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভেজানো বন্ধ করা উচিৎ
অনেকেরই জিহ্বা দিয়ে বারবার ঠোঁট ভেজানো অথবা ঠোঁট কামড়ানোর বদ অভ্যাস থাকে।ফলে ঠোঁটের আর্দ্রতা নষ্ট হয় এবং ঠোঁট শুষ্ক হয়। এটি না করে নিয়মিত উন্নত মানের বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডের লিপজেল বা লিপবাম ব্যবহার করতে হবে।তাহলেই আর ঠোঁট শুষ্ক হবে না। আর ঠোঁট শুষ্ক না হলে জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভেজানোর অভ্যাস ও ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাবে।
(৮) ফল-মূল ও শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন
শীতকালে এমনিতেই ত্বকের ময়েশ্চারাইজার কমে যায়। ফলে ঠোঁট শুষ্ক হয়ে থাকে । তাই শীতকালে খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনা উচিৎ। যেমন :- কমলা,লেবু ,পেয়ারা,পেঁপে , আমলকি ,স্ট্রবেরি ইত্যাদি টক জাতীয় ফল এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল ও সবজির পরিমান বাড়াতে হবে ।
পরিশেষে বলতে চায় আপনি শীতকালে ঠোঁটের যত্ন নিতে ভুলবেন না কিন্তু।উপরে উল্লেখিত পদ্ধতি ব্যবহার করা ছাড়াও আরও অনেক উপায় রয়েছে যেগুলো আপনি প্রয়োগ করে দেখতে পারেন।আশা করি আপনি বুঝেছেন।
মন্তব্যসমূহ