স্তন ঝুলে গেলে কি করবেন?
ছবিঃ- স্তন ঝুলে গেলে করনীয়
নারীত্বের প্রতীক হল স্তন এবং মহিলাদেরও নিজেদের স্তন নিয়ে গর্বের শেষ নেই।স্তনের আকৃতি ও গঠন নিয়ে তাঁরা সদা সচেতন।মহিলাদের ব্যক্তিত্বে এক অনন্য মাত্রা
নারীত্বের প্রতীক হল স্তন এবং মহিলাদেরও নিজেদের স্তন নিয়ে গর্বের শেষ নেই।স্তনের আকৃতি ও গঠন নিয়ে তাঁরা সদা সচেতন।মহিলাদের ব্যক্তিত্বে এক অনন্য মাত্রা যোগ করে স্তনের আকৃতি।
মহিলাদের স্তনের প্রতি পুরুষদের আকর্ষণের কারণ?
সুন্দরী মহিলার সুগঠিত স্তনের আকৃতি দেখতে যে রকমই হোক না কেন। এটি পুরুষের কাছে অত্যন্ত সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন হয়। বেশ কয়েকটি কারণে পুরুষরা মহিলাদের স্তনের মধ্যে শান্তির আশ্রয় খুঁজে পান। দিনভর কাজ, ডিপ্রেশন, চাপ, টেনশনের পর স্তনে মাথা রেখে শুয়ে থাকতে ভালবাসেন। গবেষণা বলছে, যে ব্যক্তিরা প্রতিদিন অন্তত ১৫ মিনিট করে সঙ্গিনীর স্তনে মাথা রেখে শোন, তাঁরা বেশিদিন বাঁচেন, সুস্থ থাকেন।তাছাড়াও তাদের স্তনের কারণেই পুরুষদের যৌন কামনার স্ফুলিঙ্গ জ্বলে ওঠে বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্তনের সৌন্দর্য বৃদ্ধির উপায়
মেয়েদের স্তনের সৌন্দর্য পুরুষকে আকর্ষণীয় করে তুলতে বাধ্য করে।স্তনের আকার ও আকৃতি প্রাকৃতিকভাবেই তৈরি হয়ে থাকে।কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে বেশির ভাগই মেয়েদের স্তনের আকৃতি স্বাভাবিকভাবেই বড় এবং ছোট্ট হয়ে থাকে।ফলে তারা যন্ত্রণায় ছটফট করে এবং স্তনের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের উপায় অবলম্বন করে।কিন্তু তারা সম্পূর্ণ অপারগ হয়ে থাকে।এই লেখাটি আপনার স্তনের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কার্যকরী পদক্ষেপ।
কেন আপনার স্তন বৃদ্ধি পায়?
মেয়েদের ব্রেস্ট স্যাগিং বা স্তন ঝুলে পড়া একটি সাধারণ সমস্যা।মেয়েদের স্তনের আকার ও আয়তনের স্ট্যান্ডার্ড পরিমাপ হচ্ছে ৩৪/৩৬" ইনছি।তাদের স্তন প্রাকৃতিকভাবেই অসংখ্য টিস্যু এবং ফ্যাট দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে।বিভিন্ন কারণে এটি বৃদ্ধি পায়।
.জীবন-যাপনের পদ্ধতি
.পিরিয়ডের পূর্বে
.যৌনতার সময়ে
. হরমোনের মাত্রার পরিবর্তনের ফলে
.ইস্ট্রোজেন সেবনের ফলে
.আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে
.অনিয়ন্ত্রণ ওজন
.অন্তর্বাস ফিটিং
.ধুমপান করলে
.ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট সার্জারি
.ত্বকের ইলাস্টিসিটি ইত্যাদি
স্তন ঝুলে পড়া প্রতিরোধের উপায়সমুহ
ম্যাসেজিং পদ্ধতি
স্তন ঝুলে পড়া প্রতিরোধে একাধিক ম্যাসেজের পদ্ধতি ব্যবহার রয়েছে।তার মধ্যে সবচেয়ে
আইস ম্যাসেজ জনপ্রিয় এবং কার্যকরী পদ্ধতি।
অয়েল ম্যাসেজের মধ্যে অলিভ অয়েল,কোকো নাট অয়েল,স্পিয়ারমিন্ট অয়েল ইত্যাদি।
সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার কয়েকটি আইস কিউব নিয়ে স্তনের চারপাশে বৃত্তাকারভাবে ম্যাসেজ করুন।এর ফলে স্তনের কোষে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং স্তন আকৃতি সঠিক থাকে।
নিজে নিজে স্তনে ম্যাসাজের পদ্ধতি
.আপনার ডান দিকের স্তনে বাঁ হাত রাখুন।হাতের তালু দিয়ে বৃত্তাকার গতিতে স্তন দুটি ম্যাসাজ করুন।
.দুটি হাত দুটি স্তনের উপর রাখুন এবং ধীরে ধীরে আলতো করে চাপ দিন।এভাবে ৩ মিনিট
পর্যন্ত ম্যাসাজ করুন।
.আপনার স্তনের তলার নিচে ডান হাত দিন। তারপর স্তনের তলা থেকে হাত দুটি গোলাকারে গলার কাছে ঘুরিয়ে তুলে আনুন। এবার কাঁধের দিক থেকে নীচে বাহুর মূল পর্যন্ত পিঠের দিকে নামান। এইভাবে প্রতিদিন ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন।
ইলাস্টিসিটি
আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি এবং কমার ফলে শরীরের ইলাস্টিসিটি কমে যায় এবং স্তন ঝুলে পড়ে।আপনার শরীরের স্বাভাবিক ওজন বজায় রাখুন।প্রচুর পরিমানে বিশুদ্ধ পানি পান করুন। প্রতিদিন কমপক্ষে ৪ লিটার পানি পান করুন।
সঠিক ব্রা ব্যবহার করুন
আপনি ব্রা ব্যবহারের সময়ে সতর্কতা অবলম্বন করুন।আপনার স্তনের জন্য সঠিক ব্রা ব্যবহার করুন।প্যাডেড ব্রা ব্যবহার করা উচিৎ।
ধুমপান ত্যাগ করুন
এই সমস্যা প্রতিরোধে আপনার ধুমপান ত্যাগ করা উচিৎ।কারণ এটি আপনার স্তন বৃদ্ধি পায়।
প্রোটিন জাতীয় খাবার খাবেন
এটি আপনাকে সাহায্য করে থাকে।কারণ প্রোটিন জাতীয় খাবারের অভাবে আপনার স্তন বৃদ্ধি পায়।প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ গ্রাম প্রোটিন খাবার খাবেন।
বেদানার রস
এতে ভিটামিন বি ফাইভ এবং সি, পটাশিয়াম, ফাইটো-নিউট্রিয়েন্টস পলিফেনল প্রভৃতি উপাদান রয়েছে।ফলে ত্বকের স্থায়িত্ব ও সৌন্দর্য বাড়ায় এবং আপনার স্তনের আকৃতি সঠিক থাকে।তাছাড়াও এটি বার্ধক্যকরণ প্রক্রিয়াও বিলম্বিত করতে কার্যকরী।
ব্রেস্টের এক্সারসাইজ
পুশ-আপ,চেস্ট প্রেস, ডাম্বল ফ্লাইস, টি-প্লাঙ্কস, এলবো স্কুইজ ইত্যাদি। প্রত্যেকটি ব্যায়াম ১ সেট (১৫ বার) করে প্রতিদিন করা উচিৎ।
ব্রেস্ট মাস্ক
এটি আপনাকে প্রতি সপ্তাহে ১ বার করা উচিৎ।এটি স্তন ঝুলে পড়া রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ।
উপকরণ গুলো হলো
১ টেবিল চা-চামচ টক দই
১ টেবিল চা-চামচ ভিটামিন-ই অয়েল এবং
১টি ডিম নিতে হবে
কিভাবে ব্রেস্ট মাস্ক মিশ্রণটি তৈরি করবেন?
প্রথমে একটি পাএে সকল উপকরণ গুলোকে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে হবে।এরপর ডিমটি ভেঙে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে।এবার এই মিশ্রণটি স্তন এবং স্তনের চারপাশে মাখিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে দিন। তার পর ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন।
স্তনের আকৃতি সঠিক রাখার উপায়
আপনি ব্যায়ামের মাধ্যমে ব্রেস্টের সঠিক গঠন ও আকৃতি ধরে রাখতে পারবেন।এই ক্ষেএে আপনাকে chest muscles strengthening ব্যায়াম গুলো আপনার ব্রেস্টের গঠন ও আকৃতি সঠিক রাখতে সাহায্য করে থাকে।
ব্যায়ামের জন্য উপকরণ গুলো হলো
১টি বেঞ্চ
১ জোড়া ডাম্বেল
১টি বল
১ টি চেয়ার
এ্যারোবিক ব্যায়াম
এটি আপনাকে প্রতিদিন করা উচিৎ।প্রতিদিন ১ ঘন্টা energetic ব্যায়াম গুলো করুন। যদি আপনার পক্ষে সম্ভব না হয় তাহলে হালকা ব্যায়াম করুন। আর এটি করতে জীমনেসিয়ামে বা ইউটিউবে ভিডিও দেখে বাসায় করতে পারেন।
এ্যারোবিক ব্যায়ামের উপকারিতা
.ওজন কমাতে সাহায্য করে.
.স্তন ঝুঁলে পড়া প্রতিরোধ করে.
.শরীর ও মনকে শান্ত রাখে.
.সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে ইত্যাদি.
ডিক্লাইন পুশ-আপ
প্রতিদিন সকালে ১ সেট ১৫ টি ডিক্লাইন পুশ আপ করতে থাকুন।এটি করতে প্রথমে দুই হাতে ভর দিয়ে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন।তারপর হাতের উপর সমস্ত শরীরের ভর রেখে উঠার চেষ্টা করুন।আপনার পা দুইটি একটু উঁচু স্থানে রাখবেন।নজর সামনের দিকে থাকবে এবং পুরো শরীর সোজা থাকবে।যদি ১৫ টি পুশআপ সম্পুর্ন না করতে পারেন তাহলে ১ম দিন ৫ টি ২য় দিন ১০ টি এবং ৩য় দিন ১৫ টি চেষ্টা করুন।
ডিক্লাইন পুশ-আপের উপকারিতা
.হাতের মাসল শক্ত করে
.বুকের আকার আকৃতি বৃদ্ধি পায়
.হাতের শক্তি বৃদ্ধি হয়
.শরীরের ওজন সঠিক থাকে
ডাম্বেল পুল-ওভার
প্রথমে একটি বেঞ্চের উপর ২টি ডাম্বেলসহ সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন।তারপর বাহু সোজা রেখে ২ টি ডাম্বেল আপনার বুকের উপর তুলে ধরুন।এখন কনুই সামান্য বাঁকা করে ডাম্বেল আপনার মাথার উপর দিয়ে নামিয়ে মাথার পেছন দিকে নেয়ার চেষ্টা করুন।এরপর আবার বুকের উপর নিয়ে আসুন।এভাবে প্রতিদিন ১৫ বার করতে থাকুন।
ডাম্বেল পুল-ওভারের উপকারিতা
.হাড়ের গঠন শক্ত করে
.মাসল বৃদ্ধি পায়
.পেটের চবি কমায়
.ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে
Isometric চেস্ট প্রেস
প্রথমে একটি বল নিয়ে চেয়ারে বসে পড়ুন।এবার হাত দুটি বুকের সামনে কাঁধ বরাবর উঠিয়ে বলটি ধরে ১০-২০ সেকেন্ডর জন্য চাপুন।এখন ৫-১০ সেকেন্ডর জন্য বিরতি নিয়ে আবারও শুরু করতে হবে।অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন আপনার chest muscle এ প্রেশার পড়ে।
Isometric চেস্ট প্রেসের উপকারিতা
.স্তনের আকৃতি সঠিক থাকে
.বুকের হাড় শক্ত করে
ওয়াল পুশ-আপ
প্রথমে একটি দেয়ালের ২ ফিট সামনে গিয়ে দাঁড়ান।এবার আপনার হাত দুটি কাঁধ বরাবর সামনের দিকে উঠিয়ে দেয়ালে হাতের তালু সমান্তরালভাবে রেখে শরীরের সমস্ত ওজন হাতে রেখে প্রতিদিন ১৫ টি বুকডন দিন।
ওয়াল পুশ-আপের উপকারিতা
.স্তনের আকার আকৃতি সঠিক থাকে
.পা এবং হাতের শক্তি বৃদ্ধি পায়
আর্ম সার্কেলিং
প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়ান এবং হাত দুটি বুকের সামনে কাঁধ বরাবর উঠিয়ে সামনে থেকে পেছনের দিকে ৩ থেকে ৫ বার করে ঘুরান।এবার পিছনের দিক থেকে সামনের দিকে ৩ থেকে ৫ ঘুরান।আপনি চায়লে একবার ডান হাত এবং পরে বাম হাত করতে পারবেন।
আর্ম সার্কেলিং এর উপকারিতা
.স্তন সুন্দর দেখাবে এবং আকৃতি সঠিক রাখবে
.পুরো হাতে শক্তি বৃদ্ধি পায়
চেস্ট ফ্লাই
সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দুই হাত বুকের উপর রাখুন।খেয়াল রাখুন হাতের কনুই যেন কাঁধের সমান্তরাল থাকে। এবার বাম হাত রেখে ডান হাত সামনের দিক থেকে পিছনে টানুন এভাবে ৩ বার করুন।এবার ডান হাত রেখে বাম হাত করতে হবে।আপনি এটি ডাম্বেল নিয়ে হয়ে শুয়ে শুয়ে করতে পারবেন।
চেস্ট ফ্লাইের উপকারিতা
.বুকের আকৃতি সঠিক রাখে
.স্তনের সঠিক মাপ বজায় রাখে
ছোট্ট স্তন হলে যে কাজগুলো করবেন
ব্রেস্ট খুব ছোট সেটাও আরও বড় একটা সমস্যা–মেয়েদের জন্য ব্রেস্টের কিছু স্পেশাল ব্যায়াম আছে যেমন: বেঞ্চ প্রেস, বাটারফ্লাই প্রেস, পুশ-আপ (বুকডাউন) নিয়মিত এগুলো করে স্তনের টিস্যুতে ব্লাড ফ্লো বাড়াতে হবে। এতে বুকের পেশিগুলো সঠিক শেপে এসে স্তনকে সুগঠিক করবে। এটা অনেকটা বডিবিল্ডাররা যেভাবে শরীরের পেশি বৃদ্ধি করে, সেভাবে কাজ করবে।অনেক সময় পুষ্টিকর খাবারের অভাবে বক্ষের আকার ছোট হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে আপনি অ্যামাইনো অ্যাসিড সম্পন্ন খাবার বেশি করে খান।যেমন-ঃ ডিম, ছোলা, রাজমা, মাছ বেশি করে খান। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে বিট খান।
কারণ সমীক্ষায় দেখা গেছে বিট স্তনের আকার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
স্তনের যত্ন নেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতিসমুহঃ-
.যাদের বড় ও মোটা স্তন তারা চর্বি বা গরম জতীয় খাবার থেকে দুরে থাকুন।
.স্তনের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বেশি করে দোলনা খান এবং সাতার কাটুন।
.স্তন মালিশের মাধ্যমে স্তন সুন্দর রাখা সম্ভব।
.খাঁটি দুধের সাথে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল দিয়ে ব্রেস্ট মালিশ করুন। মালিশ করবেন নিচের থেকে উপরের দিকে। এতে ব্রেস্টের রক্ত সঞ্চার স্বাভাবিক হবে ও সুডৌল হবে। মালিশ করার পর ঠাণ্ডা পানিতে স্নান করুন।
.আপনি অবশ্যই সঠিক মাপের এবং ভালো ব্র্যান্ডের ব্রা ব্যবহার করবেন।
.ব্রা ব্যবহার করার পরে অবশ্যই ডেটলযুক্ত পানিতে ডুবিয়ে পরিস্কার করে রোদে শুকিয়ে পরে আবারও ব্যাবহার করা উচিৎ।
.রাত্রে বিছানায় শুয়ার পূর্বে অবশ্যই ব্রা খুলে ঘুমাবেন।
.অতিরিক্ত টাইট বা খুবই ঢিলেঢালা ব্রা ব্যাবহার করবেন না।কারণ এর ফলে ব্রা শিথিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
.স্তনের তলায় পাউডার ব্যাবহার করবেন।কারণ
ঘাম জমতে পারে।
এছাড়াও স্তনের আকৃতি সঠিক রাখতে এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম পাওয়া যায়।আপনি চায়লে সেগুলো ব্যাবহার করতে পারেন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment policy
1.Dont bad comment
2.you can give inspire to us
3.Avoid the hegistation
4.please follow to us
5.Read and accept good think.
6.share and spread among friend and families
7.give new idea about beauty