ত্বক ফর্সা করার ১০ টি অলৌকিক উপায়

ত্বক ফর্সা  করার ১০ টি অলৌকিক উপায় জানা আছে কি?  



ত্বকের সৌন্দযের জন্য এবং ত্বক ফর্সা করতে আমরা কত কি না করে থাকি।কেউ বিউটি পার্লারগুলোতে  স্কিন ব্লিচ, ফেয়ার পলিশ,আবার কেউ কেউ বিদেশি আকর্ষণীয় ক্রিম ব্যাবহার করি। কিন্ত ফলাফল শূন্য। এই প্লাটফর্মে আপনি ত্বক ফর্সা  করার ১০ টি উপায় জানতে পারবেন।যেগুলো ১০০% কার্যকরী।

১।চন্দন গুঁড়া এবং দুধের মিশ্রণ ব্যাবহার করুন 

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য এবং ফর্সা করতে 
চন্দন গুঁড়া এবং দুধের মিশ্রণ ১০০% কার্যকরী পদ্ধতি।তাই আপনার ঝকঝকে ও আকর্ষণীয় ত্বকের জন্য চন্দন গুঁড়োর অবদান অনস্বীকার্য। আপনাকে প্রত্যেকদিন চন্দন গুঁড়োর সাথে পরিমাণ মতো দুধ মিশিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করতে হবে । এর ফলে অল্প কুছু দিনের মধ্যে আপনার মুখে হাসি ফুটবেই ফুটবে। কিছু দিন পর আপনার মুখের পরিবর্তন আপনি নিজেই দেখতে পারবেন।

২। দৈনিক দুধ ও কাঁচা হলুদ মিশিয়ে পান করুন 


প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চায় দুধ ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে। হয়তো এই সময়ে এসে পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু ত্বক ফর্সা করার জন্য এটি একটি সহজ এবং কার্যকর পদ্ধতি। এটি পান করতে প্রতিদিন আপনাকে এক গ্লাস গরম দুধের সাথে আধা চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে পান করতে হবে।আপনি চায়লে মধুর সাথেও মিশিয়ে পান করতে পারেন।

ফলে আপনার ত্বক প্রাকৃতিকভাবে ভেতর থেকে ফর্সা হয়ে উঠবে। এটি না করতে চায়লে প্রথমেই আপনাকে একটা দেড় ইঞ্চি সাইজের কাচা হলুদের টুকরো নিতে হবে। এরপর টুকরো টুকরো করে কেটে এক গ্লাস পরিমাণ দুধের মধ্যে ঢেলে দিয়ে দুধটাকে ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে ।দুধ গাঢ় হলুদ রঙ ধারণ করলে পান করুন। দৈনিক এভাবে একবার করে পান করুন

৩।লেবু ও মধুর মিশ্রণ 


লেবু ও মধুর মিশ্রণ ত্বক ফর্সা করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই মিশ্রণ তৈরি করতে আপনাকে লেবু ও মধু পরিমাণ মতো নিয়ে একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে । এবার আপনার মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে মিশ্রণটি লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। তারপর ১৫ মিনিট পরে ঠান্ডা জল/পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।এটি  প্রতি সপ্তাহে ৩-৪ দিন ব্যবহার করলেই হবে। 


৪। ঘরুয়া উপায়ে ডাল পেস্ট তৈরি করুন 



মুসুরের ডাল শুধু ডাল খাওয়ার জন্যই নয়। ত্বক 
ফর্সা করার জন্য কার্যকর ভূমিকা পালন করে। 
ডাল পেস্ট তৈরি করতে প্রথমে আপনাকে কিছু 
মুসুরের ডাল ৩০ মিনিট বিশুদ্ধ ঠান্ডা পানিতে
ভিজিয়ে রাখতে হবে।তারপর ভেজা মুসুর ডাল বেটে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে নিতে হবে। শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। 


৫। অবশ্যই ত্বকে টক দই ব্যাবহার করতে হবে 


আমরা অনেকেই জানি না যে টক দই ত্বক ফর্সা করে এবং ত্বকের শুষ্কভাব দূর করে থাকে।
আপনার ত্বক ফর্সা করতে চাইলে অবশ্যই আপনার মুখে টক দই ব্যাবহার করতে হবে। 
বিশেষ করে যাদের ত্বক শুষ্ক তাঁরা মধু ও টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে নিন এবং একটি পেস্ট তৈরি করুন।তারপর এই পেস্ট আপনার মুখে 
৩০ মিনিট ব্যাবহার করুন এবং মুখ ধুয়ে ফেলুন।সপ্তাহে  তিন দিন এরকম লাগাতে হবে।


৬। পুদিনা পাতার ফেস প্যাক তৈরি করা উচিৎ 



ত্বক ফর্সা করতে কার্যকরী পদক্ষেপ গুলোর মধ্যে পুদিনা পাতার ফেস প্যাক ব্যবহার অন্যতম পদ্ধতি। এটি তৈরি করতে আপনাকে 
১৫ থেকে ২০ টি পুদিনা পাতা নিতে হবে। তারপর পেস্ট তৈরি করতে হবে এবং পেস্ট আপনার মুখে ব্যাবহার করতে হবে। পেস্টটি তৈরি করা শেষ হলে এটা আপনার মুখে ১০-১৫ মিনিট ব্যাবহার করুন এবং পরে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ফলে আপনার ত্বক তাড়াতাড়ি ফর্সা হবে। কারণ পুদিনা পাতার মধ্যে বিদ্যমান অ্যাসট্রিজেন্ট ত্বকে পুস্টি যোগানোর সাথে সাথে আপনাার ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলে। শুধু তাই নয় এটি ত্বককে টান টান করবে আর ত্বকের ছোট ছোট পোর ঢেকে দেবে।


৭। আলুর খোসার ফেস প্যাক ব্যবহার 



বিউটি পার্লারে গিয়ে ব্লিচিং করে ত্বক ফর্সা করার চেয়ে বাসায় বসে ব্লিচিং তৈরি করে আপনার ত্বকে ব্যাবহার করা ভালো। এটি তৈরি করতে আলু আপনাকে সাহায্য করে থাকে। কারণ আলুর খোসায় ব্লিচিং উপাদান আছে । আলু খোসার পেস্ট নিয়মিত ত্বকে লাগান। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক ফর্সা আর ফ্রেশ হবে।


৮। ত্বক ফর্সায় কলার ব্যবহার



কলা শুধু খাওয়ার জন্য নয় ত্বক ফর্সাও করে। 
আপনি যদি ত্বক ফর্সা করতে চান? তবে কলার 
ফেস প্যাক ব্যবহার করা উচিৎ। এই প্যাকটি আপনার স্কিন টান দূর করে ত্বক ফর্সা করে তুলবে।কলার ফেস প্যাক তৈরি করতে ১টি মাঝারি সাইজের কলা, ১ চা চামচ মধু আর ১ টেবিল চামচ টক দই ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়মিত আপনার ত্বকে লাগান। সব ধরনের ত্বকের সাথে মানানসই এই ফেস প্যাক।

৯। দই ওট মিল স্কিন মাস্ক তৈরি 



এই মাস্ক নিশ্চিতভাবে আপনার ত্বক ফর্সা করে।
এটা তৈরি করতে আপনাকে ১ টেবিল চা চামচ ওট মিল ৮-১০ ঘন্টা অথবা সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর সকালে এটি পেস্ট করে এর সাথে ১ টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে নিতে হবে। ড্রাই টু নরমাল ত্বকের জন্য এই প্যাক বেশ উপকারি।

১০।আমন্ড ফেস প্যাক তৈরি 

                            
                             ছবিঃ- আমন্ড


উপাদান গুলো হলোঃ- 

১।পানি পরিমাণ মতো 
২।আমন্ড
৩।বাটার মিল্ক
৪।একটি পাএ

তৈরি এবং ব্যাবহার পদ্ধতিঃ-

প্রথমেই আপনাকে আমন্ড সারারাত ভিজিয়ে রেখে তারপর এটি গুঁড়া করে নিতে হবে। 
এবার এগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে এর সাথে বাটার মিল্ক হবে।এখন কিছুক্ষণ সময় ধরে রাখতে হবে। তারপর মুখে ব্যাবহার করে মুখ ধুয়ে ফেলুন    । 

মন্তব্যসমূহ

popular post

বিয়ের কসমেটিকস চেকলিস্ট বর ও কনে উভয়ের জন্য

মেকআপের জিনিসের নাম

চুলের খোপা বাঁধার ১০টি নতুন ডিজিটাল পারফেক্ট স্টাইল ছবি ও ভিডিওসহ!

লিপস্টিকের নাম এবং দাম

মুখের মেকআপ করার সঠিক নিয়ম

স্তন ঝুলে গেলে কি করবেন?