স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করার সঠিক উপায় জানত...... "
স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করার উপায়
ব্যাপকহারে জনপ্রিয় ফর্সা করার ক্রিম।কিন্তু এটি খুবই খারাপ সংবাদ যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এগুলো কাজ করে না।আপনি নিশ্চয়ই আপনার ত্বক ফর্সা করতে চান? এই প্লাটফর্মে আপনি ঘরে বসে ত্বক ফর্সা করার সঠিক নিয়ম জানতে পারবেন।এটি প্রাচীনকালে রানীদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির গোপন রহস্যের মত কাজ করে।
গোলাপ জল দিয়ে গোসল করুন
প্রাচীনকালে রানীদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য গোলাপ জল দিয়ে গোসল করতেন।তারা গোসলের জলে গোলাপের পাপড়ি ব্যবহার করতেন।কারণ এটি তাদের চামড়ার উপর প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আনতে সাহায্য করতো। যখনই রাজা একজন রানীকে স্পর্শ করতেন, তখন তার মনে হত যে কোন ভেলভেটর মতন নরম কিছু স্পর্শ করছেন। আর এটাই রাজাদের পাগল করে তুলতো।
ফেস প্যাক
মদের (বিয়ার) মধ্যে দুধ, ডিমের সাদা অংশ এবং লেবুর রস মেশানো প্যাক ব্যবহার হত মৃত চামড়া এবং কঠোরতা অপসারণের জন্য, যা চামড়া নরম করে।
অ্যাভকাডো মাস্ক
শরীরের দাগ সরাবার জন্য এবং মুখ থেকে কলুষতা সরানোর জন্য অ্যাভকাডো ফেসপ্যাক ব্যবহার করা হত। এ ছাড়াও, এটি বাঁকানো শরীর পেতে সাহায্য করতো।
আখরোট বয়সের ছাপ দূর করে
প্রাচীনকালে রানীদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য আখরোট এবং গাজর ব্যবহার করতো।এটি
তাদের শারীরিক অঙ্গগুলি ভালো রাখার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করতো।এটি তাদের শরীরকে সুস্থয় ও বক্র শরীর গঠনে সাহায্য করছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য ওয়েবসাইট অনুযায়ী তাই তখন কেউ তাদের বয়স নির্ধারণ করতে পারত না।
লম্বা মোটা চুল
সুন্দর এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল সবসময় সৌন্দর্যের আসল প্রতীক। প্রাচীনকালে আমাদের রানীরা তাদের চুলের যত্ন নিতে মধু এবং জলপাই তেল ব্যবহার করতেন।
গোলাপের সুবাস
রানীরা তাদের ত্বকের শুষ্কতা অপসারণের জন্য গোলাপের সুগন্ধি ব্যবহার করত। এটা নিশ্চিত যে, এর জন্য তারা সারা দিন স্বর্গীয় গন্ধ উপভোগ করত।
স্নানের জন্য গাধার দুধ
সেই সময়ে রানীরা মধু এবং জলপাই তেল গাধার দুধের সাথে মিশ্রিত করতেন। দুধে অ্যান্টি-ফিডিং প্রোডাকশন থাকে, যা বার্ধক্য বৃদ্ধির কারণকে হ্রাস পায় এবং তারুণ্য বৃদ্ধি করে থাকে।
লবণ খাওয়া পরিহার করুন
সোডিয়ামযুক্ত খাবারে আছে প্রচুর পরিমানে লবণ। এটি আপনাকে ত্যাগ করা উচিৎ। কারণ সোডিয়ামযুক্ত খাবার আমাদের ত্বককে আদ্র রাখার উপাদান গুলো শুষে নেয় এবং এই কারণে ত্বক রুক্ষ দেখায়। ভুলেও কোনদিন কাচা লবণ খাওয়া যাবে না।
বার বার মুখ পরিষ্কার করুন
অবশ্যই ত্বকের ধরন অনুযায়ী একটি ভাল ক্লিনজার দ্বারা প্রতিদিন ২ বার মুখ পরিষ্কার করা উচিৎ। আপনি খেয়াল রাখুন ক্লিনজারটি আপনার ত্বকের সাথে মিলে যায় কি না। মাঝে মাঝে ত্বকের ধরন অনুযায়ী অন্য কোন ব্র্যান্ডের ক্লিনজারও ব্যবহার করুন।
স্ট্র দিয়ে পান করা উচিৎ
বেশির ভাগই মহিলারা স্ট্র দিয়ে কোমল পানীয় পান করে থাকে।কিন্ত স্ট্র দিয়ে পানীয় পান করার ফলে আপনার ঠোঁট যেই আকার ধারণ করে তার মাধ্যমে আপনার ঠোঁটের চারপাশের চামড়া সংকোচিত হয়ে যায় যৌবনকালে বোঝা যায়না যখন ধীরে ধীরে বয়স বৃদ্ধি পায় ও আপনার ত্বক যখন দুর্বল থাকে তখন তা স্পষ্ট হয়।
পর্যাপ্ত পরিমানে বিশুদ্ধ পানি পান করুন
পানির অভাবে আপনার ত্বক শুষ্ক ও প্রাণহীন হয়ে যায়। যা খুব দ্রুতই ত্বকের উজ্জলতা কমিয়ে দেয়। তাই আপনাকে সুন্দর ত্বকের জন্য প্রতিদিন ৮ গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিৎ।
রৌদ্রময় থেকে ত্বক রক্ষা করুন
আপনি যদি আপনার ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং রৌদ্রময় সময় থেকে রক্ষা করতে চান। তাহলে
বাইরে থেকে বাসায় এসে প্রতিদিন একটি টমেটোর রস মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।ফলে আপনার মুখে রৌদ্র পোড়ার ছাপ পড়বে না।
ঘরে বসেই ব্লিচ করুন
ব্লিচ করলে আপনার ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পায়। ঘরে বসে ব্লিচ তৈরি করতে প্রয়োজন হবে একটি মাঝারি সাইজের লেবু এবং গরম পানি।
প্রথমেই আপনাকে একটা লেবু কেটে এক খণ্ড নিয়ে মুখে হালকা ভাবে ঘষে নিয়ে ত্বকে শুকাতে হবে। শুকিয়ে যাবার পর হালকা গরম পানি দিয়ে ঘষে তুলে ফেলুন। যদি অ্যালার্জির সমস্যা থাকে তাহলে এটা ব্যবহার না করাই ভালো।
তবে যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তারা ১ টেবিল চামচ দুধ ও ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগান। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে সামান্য ঘষে তুলে ফেলুন। এটা রোজ করতে পারবেন অথবা এক সপ্তাহে ২/৩ বার করতে পারেন।
মাস্ক ব্যাবহার করুন
প্রথমেই আপনাকে ১ চা চামচ হলুদ বাটা নিতে হবে।হলুদ গুঁড়োও ব্যবহার করতে পারেন। এর সাথে ৩ টেবিল চামচ লেবুর রস নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর এটি আপনার ত্বকে ব্যাবহার করুন এবং ১৫ মিনিট পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
যদি অ্যালার্জির সমস্যা থাকে তবে এটা ব্যবহার না করাই ভালো।তবে আপনার যদি অ্যালার্জির সমস্যা থাকে থাকে তাহলে ২ টেবিল চামচ মধু ও ২ টেবিল চামচ টক দই ভালো করে মিশিয়ে মুখে ব্যাবহার করুন। ২০ মিনিট পর ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
বেশি মাত্রা হাইড্রেটের স্কিন প্রোডাক্ট
এই ক্রিমটি কিনতে ↓নিচের লিংকে ক্লিক করুন
আপনার অবশ্যই ত্বকে ময়েসচারাইজার ব্যাবহার করতে হবে। এর জন্য ভালো কোন ব্র্যান্ডের ময়েসচারাইজার ব্যবহার করুতে পারেন। যে সব স্কিন প্রোডাক্টে হাইড্রেটের মাত্রা বেশী সেসব কিনুন ও ব্যবহার করুন।
ব্লিচের পর বা মাস্ক লাগিয়ে মুখ ধোয়ার পরে অবশ্যই ত্বকে ময়েসচারাইজার ব্যাবহার করা উচিৎ । রাতে অবশ্যই নাইট ক্রিম অথবা অলিভ ওয়েল ব্যাবহার করে ঘুমাতে যাবেন। ১ সপ্তাহে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বেই।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment policy
1.Dont bad comment
2.you can give inspire to us
3.Avoid the hegistation
4.please follow to us
5.Read and accept good think.
6.share and spread among friend and families
7.give new idea about beauty